তারল্য সংকট কমাতে ব্যাংকগুলোকে রেকর্ড পরিমাণ ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর কাছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের স্থিতি বেড়ে যাওয়ায় তা বন্ধক রেখে বেশি ঋণ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক দিনে ২১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে। ওই অর্থে ব্যাংকগুলো আগের দেনা সমন্বয় করেছে ১৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা। বাকি ৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা নতুন ধার হিসাবে নিয়েছে। এ ছাড়া, কলমানি মার্কেট ও এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ধার নিয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
গত সরকারের আমলে কয়েকটি ব্যাংকে ব্যাপক লুটপাট হওয়ায় ঋণের নামে আমানতকারীদের টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। ওইসব টাকার একটি অংশ পাচার করে দেওয়ায় ব্যাংকে আর টাকা ফেরত আসছে না। এতে নয়টি ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। ওইসব ব্যাংককে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়ার প্রবণতা কমানো হলেও এখন ব্যাংকগুলো আগের ধার সমন্বয় করে নতুন ধার নিতে পারছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ধার দিচ্ছে। এ ছাড়া, ব্যাংকগুলোকে আন্তঃব্যাংক ধার দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবারই সর্বোচ্চ ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি ধার দেওয়া হয়েছে। এর আগে ধারের পরিমাণ আরও কম ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে থাকা ট্রেজারি বিল বা বন্ড বন্ধক রেখে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ধার দেয়। এখন ব্যাংকগুলোর হাতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের স্থিতি বেড়েছে। যে কারণে ওইসব বিল বন্ড বন্ধক রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিতে পারছে।
আরএস