আগ্রাসী তিস্তার ভাঙ্গন বন্যা এবং বাস্তুহারা মানুষের আর্তনাদ নিরসনে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক নদীর ন্যায্য হিস্যার দাবি এবং টেকসই সমাধানকল্পে মানববন্ধন করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
মঙ্গলবার (১লা অক্টোবর) বেলা ১১ টায় কলেজের শহীদ মামুন চত্বর হয়ে কলেজ মেইন গ্রেট এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লালমনিরহাট জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, “তিস্তা পাড়ের জেলাগুলোতে বছরে দুইবার বন্যা হয়। এইসময়ে বাড়ি-ঘড় এবং ফসলি জমি প্লাবিত হয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত তারা নিজেদের সুবিধা মতো পানি ধরে রাখে যার ফলে আমরা খরার মধ্যে থাকি আবার বর্ষাকালে তারা পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের বন্যার পানিতে ভাসিয়ে রাখে।”
কুড়িগ্রাম জেলার শিক্ষার্থী নাহিদ বলেন, “উত্তর অঞ্চলে যে বন্যা হয় সেটা রাজনৈতিক বন্যা ভারত নিজেরা ভালো থাকার জন্য নদীর উপরে তিনটি বাঁধ নির্মাণ করেছে। বর্ষাকালে বাঁধ গুলো ছেড়ে দিয়ে উত্তর অঞ্চলের জেলা গুলোকে ডুবিয়ে রাখে তাই দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে আমাদের স্থায়ী সমাধান দেওয়া হোক।”
নীলফামারী জেলা ছাত্র কল্যান পরিষদের সভাপতি সোয়াইব খান বলেন, “তিস্তা পার ঘেসা জেলাকেগুলাকে বিভন্ন ভাবে সহায় সম্বলহীন বানিয়েছে বিগত সালের সব সরকারই।
আজ তিস্তার মাধ্যমেই জেলার উন্নয়নের কথা ছিল। সেই তিস্তাই এখন গলার কাটা রংপুরের দঃখ।
তারা কখনই সেই তিস্তা সমস্যা নিয়ে কাজ করে নি।
আমরা এসেছি তিস্তাপাড়ের মানুষের অধিকারের জন্য। এ অঞ্চলের মানুষের যেন পুনরায় পানিতে ভাসতে না হয় এবং এভাবে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় না দাঁড়াতে হয়, সেটির নিশ্চয়তা চাই। অবহেলিত উত্তরবঙ্গের প্রাণের চাওয়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিজস্ব অর্থায়নে অবিলম্বে বাস্তবায়ন হউক।”
উল্লেখ্য, তিস্তা ভারত বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত অন্যতম একটি অভিন্ন নদী। শুষ্ক মৌসুমে পানি ভাগাভাগি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতায় সেটি গত এক দশকেও আলোর মুখ দেখেনি। অভিন্ন নদী হিসেবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না করে উজানে তিস্তার পানির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত।
মানববন্ধন শেষ করে, পুরো ক্যাম্পাস মিছিলে মাধ্যমে চক্রর দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।