বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তুরস্কে যাচ্ছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এক যুগের শাসনামলে সিসির প্রথমবারের মতো তুরস্কে পা রাখাকে ঘিরে দুদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে বিশ্লেষকদের বরাতে মন্তব্য করেছে রয়টার্স।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়:
“মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের সফরে তুরস্ক-মিশর সম্পর্কের সকল আঙ্গিক পর্যালোচনাপূর্বক বৃহৎ পরিসরে সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে সম্ভাব্য যৌথ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ঘটনাবলী এবং ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে আলাপ করবেন তুর্কি ও মিশরীয় রাষ্ট্রপ্রধান।”
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে ২০১২ সালের পর প্রথম কায়রো সফরে যান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেন এরদোয়ান। এর সাত মাসের মাথায় সিসির তুরস্ক ভ্রমণ দুই দেশের মধ্যকার শীতল সম্পর্ককে বেশ উষ্ণ করবে বলেই মত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
২০১৩ সালে স্বাধীন মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইখওয়ানুল মুসলিমীনের ড. মুহাম্মাদ মুরসিকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি। এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মুরসিকে ক্যু এর মাধ্যমে সরানোয় সিসি প্রশাসনের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে চলতি দশকের শুরুতে আঙ্কারার কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের সূত্র ধরে তুরস্ক-মিশর সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে।
আরএস