জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃতি ও মানুষ। গ্রীষ্মে বাংলাদেশে প্রচণ্ড গরম দিনের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।এমন তীব্র তাপদাহে সর্বস্তরের শিক্ষার্থী ও কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।ঢাকা ও জগন্নাথসহ দেশের একাধিক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হওয়ায় যথারীতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই ক্লাস – পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড নূরুল আলমের সাথে আলোচনার পর পূর্ণাঙ্গ আবাসিক অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ বিভাগে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের খুব বেশি সমস্যা হবে না। বরং আবাসিক হলেই অনেক কষ্ট।’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্পাসে লোডশেডিং তেমন হয় না বললেই চলে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলবে।’
এর আগে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটি শেষে ২৮ এপ্রিল খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
রবিউল হাসান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়