প্রায় দুই সপ্তাহ পর দেশে সচল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ২টার দিকে চালু করা হয় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়টসঅ্যাপসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
এ বিষয়ে সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবন মিলনায়তনে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ (বুধবার) বিকাল হতে দেশে প্রচলিত সকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্যাশ সার্ভার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
বুধবার সকালে মেটার (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম) সিঙ্গাপুরস্থ এশিয়া সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, মিস-ইনফরমেশন, ডিস-ইনফরমেশন বিষয়ক যে কোনো ভ্রান্তি নিরসনে ফ্যাক্ট চেকিং জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে গত রবিবার (২৮ জুলাই) সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে বেশ কিছু বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দুর্বৃত্তদের নাশকতার ঘটনার পর সারা দেশে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইলফোনে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২৩ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। আর টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার (২৮ জুলাই) সারা দেশে মোবাইলফোনে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার দুপুর থেকে থেকে চালু হলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তবে এর আগে অনেক ব্যবহারকারীকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়।