১৫ই আগস্ট বাংলাদেশে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। গত ১৫ বছর আওয়ামীলীগের শাসনামলে শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয়ে এসেছে দিনটি। তবে ২০২৪ সালে এসে ৫ ই আগস্ট জনতার দাবির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর ডক্টর মুহম্মদ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বৈঠকের মাধ্যমে ১৫ই আগস্ট শোক দিবসের ছুটি বাতিল করা হয়।
এদিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে রোকেয়া প্রাচীর ওপরে হামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রোকেয়া প্রাচীর নেতৃত্বে একদল সংস্কৃতিকর্মী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শোক দিবস উপলক্ষে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে। এসময় প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর হামলা করে।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা রোকেয়া প্রাচী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান। এসময় আরো ৭০-৮০ জন সংস্কৃতিকর্মী রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে যোগ দেন। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের আয়োজন চলাকালে ৩০-৩৫ জন যুবক উপস্থিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীমতে, তাদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। তারা সকলকে হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙচুর করে। রোকেয়া প্রাচী সেটি ঠিক করতে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে যুবকেরা। একের পর এক আঘাতে অভিনেত্রী লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত সহশিল্পীরা ধরে বাইরে নিয়ে যান। ঘটনাটি রোকেয়া প্রাচী নিজেও নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত হয়েছেন, এমন অভিযোগ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘যারা পিটিয়েছে তারা আমাকে টার্গেট করে এসেছে। প্রত্যেককে আমার শিক্ষিত মনে হয়েছে। তারা খুব শুদ্ধ ভাষায় কথা বলেছে। তাদের কথাবার্তা শুনেই বুঝেছি তারা দুষ্কৃতকারী নন।’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আজ বুধবার এই বাড়িতে অবস্থান নিয়ে রোকেয়া প্রাচী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আছি ধানমন্ডি ৩২। হোক সব হত্যার, সব নৈরাজ্যের বিচার।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে গেলে তার নেতা কর্মীদের অনেকেই পালিয়ে আছে এখনো। তবে আওয়ামীলীগের কর্মী এবং অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এখনো দলের পক্ষে সরব রয়েছেন।