নওগাঁ কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামীলীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনায় আওয়াামীলীগ অফিস ভাঙচুর এবং উভয় পক্ষের প্রায় ১১ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (৩ আগষ্ট) বেলা বেলা ১২টার দিকে কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শহরের কাজির মোড়ে সমবেত হয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায় তারা মিছিল নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে প্রধান সড়ক ধরে এগিয়ে আসতে থাকে।
এক সময় সরিষা হাটির মোড়ে জেলা আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে এলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় ১৫ আগষ্ট শোক দিবসের কর্মসূচী প্রনয়নে আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয়ের ৭ তলায় প্রস্তুতি মিটিং চলছিল। সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি,পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৫ সদর আসনের এমপি ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, নওগাঁ-৩ ( মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের এমপি সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৪ এসএম ব্রোহানী সুলতান মামুদ ও নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. ওমর ফারুকসহ জেলার ১১ উপজেলা থেকে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময কোটা আন্দোলনকারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আওয়ামীলণীগ অফিসের জানালার বেশ কিছু কাঁচ ভাঙচুর করে। অফিসের সামনের গেইট এবং কিছু রিকসা ভাঙচুর করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্ট ধাওয়া হয়।
এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। পরে কোটা আন্দোলনকারীরা সরিষা হাটির মোড়ে এবং আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে। মাঝখানে সেনা বাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নেয়। উভয় পক্ষ হতে থেকে মুহুর্মুহু শ্লোগান দেয়া হয়। এক
পর্যায় কোটা আন্দোলকারীরা সেখান থেকে সরে মুক্তিরমোড়ে অবস্থান নেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলেও শহর জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আরিফুল ইসলাম রনক
নওগাঁ।