নওগাঁ আস্তানমোল্লা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের দেওয়া তালাবদ্ধ নথিপত্র তিন মাস পর উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এডহক কমিটির সভাপতি আমিনুর হক বেলাল সভা করেন। সভায় শিক্ষকবৃন্দ জানান, তালাবদ্ধ আলমারিতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আটকে থাকায় কলেজের পাঠদান ও গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সভাশেষে সভাপতি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনা আখতারসহ সকল শিক্ষকের উপস্থিতে আলামারির তালা খুলে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বের করেন। বের করা কাগজপত্রের মধ্য দুটি রেজ্যুলেশন খাতা বিভিন্ন জায়গায় ওভার রাইটিং, পূনলেখনসহ বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক অধ্যক্ষ মাহবুবুল ইসলামের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি শিক্ষক-কর্মচারীরাও একাত্মতা ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ আগস্ট কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সোহেল রানা বরাবর স্বেচ্ছায় অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মাহবুবুল ইসলাম। এরপর থেকে তিনি কলেজে আসা বন্ধ করেন এবং অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখার আলমারির চাবি কৌশলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রাখেন।
আলমারিতে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও ছাত্র-ছাত্রীদের সনদপত্র আটকা পড়ে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বার বার মাহবুবুল ইসলামের কাছে চাবি চাইতে থাকলেও তিনি কর্তৃপক্ষকে চাবি না দিয়ে কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুটকৌশল ও ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনা আখতার জানান, আজকে কলেজের সভাপতির উপস্থিতিতে আমরা তালা খুলে কালেজের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পেয়েছি। যেখানে তিনি রেজ্যুলেশন খাতা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিলো।
কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মো: আমিনুল হক বেলাল বলেন, আমি সভাপতি হবার পর শিক্ষকরা আমাকে আলমারির চাবির কথা বলেছেন। সে বিষয়ে বার বার মাহবুবুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি কিন্তু আমি তার কাছ থেকে চাবি নিতে ব্যর্থ হয়েছি। আলমারিতে থাকা শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র এবং রেজ্যুলেশন খাতা দীর্ঘদিন থেকে অযত্নে থাকায় সেগুলো নষ্ট হচ্ছে। এজন্য কলেজের সবার উপস্থিতে আলমারির চাবি খোলা হয়েছে। খোলার পর অনেক কাগজপত্র নষ্ট হবার উপক্রম।