নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ছাত্রদল।
আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স, ফিশারিজ এবং সোস্যাল সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিস চারটি অনুষদের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই হাবিপ্রবি ছাত্রদল। নবীন বরণ শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের হাতে গোলাপ ফুল এবং পানির বোতল তুলে দেয় হাবিপ্রবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নাড দাস বলেন,প্রথমেই নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই।তারা সকলেই ফুলের মতো পবিত্র। ভবিষ্যতে র্যাগিংমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা করবে এবং দেশ বিদেশে ভালো কর্মে নিয়োজিত হবে।আর যারা রাজনীতি করতে চায় তারা সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দানের সক্ষমতা অর্জন করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ঐতিহাসিকভাবে নেতৃত্ব তৈরীর আতুরঘর। এটা অতীতে ছিল, আর বর্তমানে এটার গুরুত্ব অনেক বেশি বলে আমি মনে করি। সময় এখন নতুনভাবে ভাবার, নতুন বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার। পরবর্তীতে চ্যালেঞ্জ থাকবে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের। যদিও সেটি সময় সাপেক্ষ ও বৃহৎ ঐক্যমতের ব্যাপার,তবুও সকলের সামগ্রিক চেষ্টা তো করাই যায়।
আমাদের এক থাকতে হবে,ধৈর্য্য ধারন করতে হবে এবং সব পক্ষকে শান্ত থাকতে হবে। হাবিপ্রবিকে উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তুলতে সবার “role playing contribution” নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।মুক্ত-বুদ্ধি ও মেধা-বৃত্তিক রাজনীতি এবং সৃজনশীলতার প্রচলন এখন সময়ের দাবি। গঠনমূলক যুক্তি-আলোচোনা ও সমালোচনার ঝড় উঠুক মুক্ত ক্যাম্পাসে। যে যার জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিন,নেতৃত্ব তৈরী করুন। ক্যাম্পাসে একক কোনো নেতা নেই। সৎ সাহসী ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আমরা সবাই একই পথের যাত্রী। গঠনমূলক সমালোচনা করার অভ্যাস যেমন গড়ে তুলতে হবে, তেমনি সমালোচনা সহ্য করার বিষয়েও আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক প্রতিদ্বন্দীতা তৈরী করে উদাহরণ তৈরী করা উচিত। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবেনা। অন্যায়কারির বিচারের জন্যে আইনের আশ্রয় নিন। মানবিকতার দিক বিবেচনা করে কারো ক্লাস,পরীক্ষা ও সার্টিফিকেট নিয়ে ঝামেলা না করাই উচিত। একটা ডিগ্রীর জন্যে প্রতিটি পরিবারের কি পরিমান শ্রম,ত্যাগ ও আবেগ জড়িত তা সবাই বুঝি (যারা অতীতে ভূক্তভুগী তারা অবশ্যই ভালো বুঝবে এর কষ্ট)। আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাটাও এখন আমাদের জন্যে নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম।
শিক্ষার্থীবান্ধব,প্রতিশ্রুতিশীল ও গঠনমূলক রাজনীতিই পারে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত স্বাধীনতাকে, নতুন হাবিপ্রবি ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার সঠিক পথে ধরে রাখতে।