‘পর্যটন শান্তির সোপান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় অনুষদ ভবনের সামনে পায়রা উড়িনোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করা হয়। পরে সেখান থেকে বর্ণাট্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হলে সেখানে কেক কাটা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, সদ্য সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, প্রভাষক ইয়ামিন মাসুম ও নাসির মিয়াসহ বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
র্যালিতে শিক্ষার্থীরা আরবের সাজ, আদিবাসীদের সাজ, করপোরেট জবের সাজ ও হিন্দু সংস্কৃতির সাজসহ বাহারি সাজে সজ্জিত হয়ে পর্যটনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিভাগে কুইজ কুইজ প্রতিযোগিতা এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় মার্কেটিং বিভাগের নাসিম আলী প্রথম স্থান অধিকার করে এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের শম্পা ও সামিরা পর্যায়ক্রমে ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে। অন্যদিকে কুইজ কুইজ প্রতিযোগিতায় বিভাগের নাবিল নাসির, কোরবান আলী এবং তাওহিদ হাসান পর্যায়ক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেন। এসময় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিভাগের শিক্ষকরা।
বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুলাহ আল মুনায়েম বলেন, আজকে এই দিনটি নানারকম কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়।পর্যটন শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যম নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, যা জাতির সীমা অতিক্রম করে মানুষকে মানুষে সংযুক্ত করে। পর্যটনের মাধ্যমে আমরা ভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের সাথে পরিচিত হই, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও সমৃদ্ধ করে।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হওয়ায় বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়। ফলে সমাজের শান্তি প্রতিষ্ঠায় পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশে যথেষ্ট রিসোর্স থাকলেও আমরা বিদেশি পর্যটকদের সেভাবে আকৃষ্ট করতে পারছি না। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পর্যটন খাতের সঠিক উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করা হলে এই খাতটি দেশের অন্যতম শীর্ষ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সাথে সাথে পর্যটন শিক্ষায় শিক্ষিত যুবকদেরকে এই শিল্পে অবদান রাখতে হবে। পর্যটন বিষয়ে পড়াশোনা করেও তারা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে এই সেক্টরে থাকতে চান না। এদিকেও সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে হবে।