দেশের একমাত্র পাবলিক ও টেক্সটাইল প্রকৌশলে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ১৪তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।
২০১০ সালে কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি হতে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর ২২ ডিসেম্বর ‘বুটেক্স দিবস’ হিসেবে পালন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম জন্মদিনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম পালিত হয়। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সকালে বেলুন ও পায়রা অবমুক্তকরণ এবং কেক কাটার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। তারপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে আনন্দ র্যালি বের হয়। আনন্দ র্যালিটি তেজগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অত:পর ক্যাম্পাসে ফিরে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অ্যালামনাই ও অতিথিদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সকলকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
এছাড়া বিকাল হতে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয় ও রাতে ব্যান্ড শো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ বছরে পদার্পণ করায় আমি সকল প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শুভেচ্ছা জানাই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, গবেষণা কার্যক্রম ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের আশা করি। এজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। এছাড়া সময় স্বল্পতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আয়োজনের যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারিনি আমরা। আমরা সামনের বছর থেকে আরও সুন্দরভাবে এই দিন উদযাপনের চেষ্টা করবো।
অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মায়িশা মোবাশশিরাহ জানান, জুনিয়র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের কাছে একটি আবেগের জায়গা। আমি সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের নানা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলাম এবং খুব ভালো লেগেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে স্টেজে প্রোগ্রামটা বড় করে করা হলে ভালো হতো। আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আশা রাখব পরেরবার আরো উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানটা হবে।
রাতুল//বিএন