আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ শনিবার থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের বিশেষ অভিযান। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্র বিক্রেতা ও নির্বাচনে সহিংসতা চালাতে পারে এমন সব রাজনৈতিক দলের ক্যাডারদের তালিকা ধরে চলবে এ অভিযান। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) এ অভিযান শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এরই মধ্যে পুলিশ সদর দফতর থেকে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনায় একই সময়ে মাদক উদ্ধারের কথাও বলা হয়। এতে বলা হয়, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ৯ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সেইসঙ্গে প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে আগের দিনের অভিযানের বিস্তারিত তথ্য ঢাকায় পুলিশ সদর দফতরে অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস) বরাবর পাঠাতে বলা হয়। বিশেষ অভিযান সংক্রান্ত তথ্য পাঠাতে একটি নমুন ফর্ম সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
২৩ দিনের টানা এ অভিযানে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল। সীমান্ত হয়ে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ রোধে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে; গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র পাচারের রুটগুলোতে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা তিন সহস্রাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
পুলিশ-সূত্র বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সবসময়ই অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়ে যায়। এ সময় অস্ত্রের চাহিদা ও দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে যায় পাচারও; সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান চক্রগুলো অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি প্রচুর অবৈধ অস্ত্র পাচার করে থাকে। দেশে প্রবেশের পর নানা কৌশলে সেসব অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জেলা, মহানগর, শহর, উপশহর এমনকি প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জেও।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভোটের মাঠে কেউ বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করলেও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মাঠ প্রশাসন।’