১৪ দলের শরিক ও মিত্র জাতীয় পার্টিকে ৩২ আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনগুলো থেকে রোববার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা নিয়ে দোলাচলের অবসান ঘটেছে।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক মিত্ররা জোট হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ কারণে ১৪ দলকে আসন ছাড়া হয়েছে। এছাড়া আলোচনা সাপেক্ষে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শরিকদলের জন্য নৌকা হারালেন যারা
বগুড়া-৪ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, রাজশাহী-২ মোহাম্মদ আলী, বরিশাল-২ তালুকদার মো. ইউনুস, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, লক্ষ্মীপুর-৪ ফরিদুন্নাহার লাইলী।
জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া আসনে নৌকা হারাচ্ছেন যারা
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মো. ইমদাদুর হক, নীলফামারী-৩ গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ জাকির হোসেন বাবুল, রংপুর-১ রেজাউল করিম রাজু, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মণ্ডল, কুড়িগ্রাম-১ আচলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম-২ জাফর আলী, গাইবান্ধা-১ আফরুজা বারী, গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম গিনি, বগুড়া-২ তৌহিদুর রহমান মানিক, বগুড়া-৩ সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, সাতক্ষীরা-২ আসাদুজ্জামান বাবু, পটুয়াখালী-১ আফজাল হোসেন, বরিশাল-৩ সরদার মো. খালেদ হোসেন, পিরোজপুর-৩ আশরাফুর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ আব্দুল হাই আকন্দ, ময়মনসিংহ-৮ আব্দুছ ছাত্তার, কিশোরগঞ্জ-৩ নাসিরুল ইসলাম খান, মানিকগঞ্জ-১ আব্দুস সালাম, ঢাকা-১৮ হাবিব হাসান, হবিগঞ্জ-১ ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শাহজাহান আলম, ফেনী-৩ আবুল বাশার, চট্টগ্রাম-৫ আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম-৮ নোমান আল মাহমুদ।
এছাড়া কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
এই দুই আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া-২ থেকে জাসদের হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ থেকে গত ১৫ বছর ধরে একেএম সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি এই আসন থেকে লড়বেন।