ওই পোস্টে মাশরাফী লিখেন, ‘আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, মনোনয়ন দেয়ার মাধ্যমে নড়াইল-২ আসনের জনগণের ৫ বছর সেবা করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছিলেন, আপনারা মনে ঠাঁই দিয়ে চেয়ারে বসিয়েছিলেন। আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা।’
পোস্টে আরও লিখেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার একজন বাহক হিসেবে আপনাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছি। আপনাদের সবার সব চাহিদা হয়তো আমি পূরণ করতে পারিনি, কিন্তু একটি মুহূর্তও বসে থাকিনি।’
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সারথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন নড়াইলকে সাজাতে গিয়ে হয়তো আপনাদের সবার মন রক্ষা করতে পারিনি, কাজে হয়তো ভুলও করেছি, সেজন্য আপনাদের সবার কাছে মনের অন্তঃস্থল থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রাচীনতম একটি বড় সংগঠন। এতবড় দলে মতের অমিল থাকাটাও খুব স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ বছরের কাজ করতে গিয়ে আমার কারও প্রতি কোনো রাগ-ক্ষোভ নেই। নড়াইলের তৃণমূল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা ও পরম স্নেহে আমি কাজগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চেষ্টা করেছি। নড়াইলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসায় আমি সিক্ত ও আবেগাপ্লুত। এই জনপদের মানুষকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনাদের অনুপ্রেরণা ও পাশে থেকে সাহস যোগানোর ফলে আমার সামনে চলার পথ সুগম হয়েছে। আমি বিনয়ের সঙ্গে একটি কথাই বলবো আপনারা আমার কাজে বা ব্যবহারে মনে কোনো কষ্ট পেলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন।
সবশেষ মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জনপদের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে যাকেই মনোনয়ন দেবেন, দলের হয়ে তার জন্য কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। আপনারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। আমার ও আমার পরিবারের সুস্থতায় দোয়া করবেন।’