পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মার্কেটে ১৮ কেজি ওজনের একটি তাইরা মাছটি অর্ধ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সামুদ্রিক মাছটির নাম তাইরা হলেও কেউ এটিকে লাক্ষা মাছ বা তাইল্যা মাছ বলে। ইংরেজিতে মাছটিকে স্যালমন বলে। সুস্বাদু হওয়ায় এবং প্রচুর আয়োডিন সম্পন্ন মাছটির দামও অনেক বেশি হয়ে থাকে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পাথরঘাটার বিএফডিসি মার্কেটে খোলা ডাকে এক লাখ আট হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয় মাছটি। মার্কেটর আড়তদার আ. ছালাম মিয়া ডাক তুললে সর্বোচ্চ ডাকে মাছ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ১৮ কেজির মাছটি আটচল্লিশ হাজার ছয়শত টাকায় কিনে নেয়। মাছটি ঢাকায় বিক্রি করার জন্য প্যাকেটজাত করেছেন।
জাকির হোসেন বলেন, জেলের বড়শিতে ধরা পড়ে এই ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের লাক্ষা মাছ। পরে মাছটি পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার মুক্তা ফিসের মালিক আ. সালাম বিএফডিসি মৎস্য বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে এলে আমি ৪০ হাজার টাকায় ক্রয় করি।
তিনি আরও বলেন, এ মাছটি আমি ক্রয় করেছি, মাছটি চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।
এফবি মুক্তা ফিসের মালিক আ. সালাম বলেন, মঠবাড়িয়া উপজেলার শাপলেজা এলাকার শহিদুল ইসলামের ট্রলারে বড়শিতে ধরা পড়ে এ মাছটি।
মূলত বাজারে লাক্ষা মাছের বেশ চাহিদা রয়েছে। বড় লাক্ষা মাছ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। ভোজন রসিকদের কাছে লাক্ষার বিশেষ কদর আছে। সমুদ্রের লাক্ষায় কাঁটা থাকে না। সুস্বাদু হওয়ায় দামটাও অন্য মাছের তুলনায় বেশি। মৎস্যজীবীদের মতে এ মাছ সুস্বাদু হওয়ায় দাম বেশি। তবে এ মাছটি সুস্বাদু হওয়ায় অতি আহরণের ফলে সাগরে লাক্ষা মাছ আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা কারণে এখন এরকমের সুস্বাদু মাছ বড় আকারে হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা পালনে এটি একটি ভালো ফলাফল বলে আমি মনে করি।
মোঃ রবিউল আলম সুজা
পাথরঘাটা বরগুনা।