খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা থেকে পিজেএসএস এর সশস্ত্র গ্রুপকে সরিয়ে নিতে পিজেএসএস সভাপতি সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউপিডিএফ।
আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক ও মুখপাত্র অংগ্য মারমা অবিলম্বে পানছড়ি থেকে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার জন্য জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে উক্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত থেকে জেএসএস-এর সশস্ত্র কর্মীরা আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন জনকে হুমকি দিচ্ছে; এর ফলে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটিতে সেনা-সেটলার হামলার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা চলমান ছাত্র-গণআন্দোলনে স্বাভাবিকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, যা প্রকারান্তরে শাসকচক্রকে লাভবান করছে।”
জেএসএসের এই আচরণে জনগণ হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটিতে সেনা-সেটলার হামলায় প্রাণহানি, বাড়িঘর-দোকানপাট অগ্নিদগ্ধের ফলে জনগণ অস্তিত্ব রক্ষার্থে যে মুহুর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের তাগিদ অনুভব করছেন, তখন জেএসএস-এর সশস্ত্র দলের আক্রমণাত্মক অবস্থান জনগণের সাথে শত্রুতার সামিল।
পানছড়ির জনগণ ও ইউপিডিএফ এই চরম উত্তেজনাময় পরিস্থিতে সর্বোচ্চ সংযম ও ধৈর্য্য প্রদর্শন করে আসছে জানিয়ে অংগ্য মারমা আরো বলেন, “আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেএসএসকে অনুরোধ করেছি তারা যেন তাদের সশস্ত্র গ্রুপকে পানছড়ি থেকে সরিয়ে নেয়; দুঃখজনক হলেও তারা এখনো আমাদের অনুরোধে কর্ণপাত করেনি।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা সকল স্তরের ঐক্য প্রত্যাশী জনগণসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত বিরোধী এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিশ্বাসী ছাত্র-জনতার সাথে জেএসএস-এর মধ্যকার যে সকল নেতা-কর্মী-সমর্থক একাত্মতা পোষণ করেন, তাদেরকে জাতীয় অধিকার আদায়ের আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে পানছড়ি থেকে সশস্ত্র গ্রুপ প্রত্যাহারের জন্য সন্তু লারমার প্রতি চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন।