সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা কোনো বাধা ছাড়াই রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শহর ছেড়ে পালিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার (৮ ডিসেম্বর) তিনি একটি অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বিমানে করে দামেস্ক ত্যাগ করেন। দুই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বিদ্রোহীদের রাজধানীতে প্রবেশের সময় সেনাবাহিনীকে কোথাও দেখা যায়নি।
রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে স্বাধীনতার স্লোগান দিচ্ছে বলে জানা গেছে। বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা সিরিয়ার জনগণের জন্য নতুন স্বাধীনতার সূচনা উদযাপন করছি এবং সেদনায়া কারাগারে বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করেছি।”
ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বিদ্রোহীদের অগ্রগতির খবর আসার সময় দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি সিরিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান উড়াল দেয়। প্রথমে বিমানটি উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে গেলেও আকস্মিকভাবে দিক পরিবর্তন করে অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট আসাদ কোথায় গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বিদ্রোহীরা সেদনায়া কারাগারের বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই কারাগারে বন্দীদের উপর সরকারের পক্ষ থেকে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হতো। বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে জানায়, “আমরা সেদনায়ায় নির্যাতনের যুগের অবসান ঘটিয়েছি।”
গত মাসে হঠাৎ করেই সিরিয়ার পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ২৭ নভেম্বর বিদ্রোহীরা আলেপ্পো শহরে অভিযান শুরু করে। এরপর ১ ডিসেম্বর তারা আলেপ্পোর বেশিরভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেয়। ৫ ডিসেম্বর তারা হামা শহর দখল করে এবং ৭ ডিসেম্বর রাজধানী দামেস্ক ঘেরাও অভিযান শুরু করে। ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা হোমস শহর দখলের ঘোষণা দেয়। অবশেষে, রাজধানী বিদ্রোহীদের দখলে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আসাদ পালিয়ে যান।