রাবি প্রতিনিধি
পাহাড়ে ইউপিডিএফের ৪ নেতার হত্যার প্রতিবাদ এবং পাহাড়ে সেনা শাসন প্রত্যাহারের দাবিতে মশাল মিছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল কয়েকটি সংগঠন। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এর আগে পরিবহন মার্কেটের আমতলা থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মতো মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ মিলিত হয়।
এসময় তারা বিভিন্ন দাবি করে স্লাোগান দেন। ‘দাবি মোদের একটা,সেনা ছাড়া পাহাড় চাই’, ‘পাহাড় থেকে সেনা শাসন তুলে নাও,নিতে হবে’, ‘হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আগুন জ্বালাও একসাথে ‘।
মিছিল শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষে শামিম ত্রিপুরা বলেন,পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষরা তাদের অধিকার আদায়ে কখনো পিছপা হয়নি। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে সবকিছু সহ্য করে এগিয়ে যাব।পাহাড়ি অঞ্চলে সেনারা আমাদের উপর আক্রমণ করে আসছে। তারা নীল নকশার মাধ্যমে আমাদের মেধাশূন্য করার পায়তারা করতেছে। এক বিপুল চাকমা শহীদ হলে হাজারো বিপুল চাকমা জন্মাবে।
এসময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভপতি শাকিল হোসেন বলেন, সংগ্রামী মানুষকে নানাভাবে হত্যা করছে রাষ্ট্র।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যারা আছে তারা শোষক। তারা সংগ্রামী মানুষকে পছন্দ করে না। স্বাধীনতার পর থেকে সংগ্রামী মানুষকে নানাভাবে হত্যা করছে সরকার। আমরা চাই পাহাড় কিংবা সমতলে বসবাসরত সকলের নায্যা অধিকার ফিরিয়ে আনতে। আমাদের একত্রিত সংগ্রামের মাধ্যমে নীতি বান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অনবরত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান বলেন,পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষকে গুম এবং ধর্ষণ করে তাদের মানবাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার বারবার পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে । তারা পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষকে মেধাশূন্য করতে চাচ্ছে। শান্তিচুক্তি নামে ফ্যাসিবাদী সরকার অশান্তি করে তুলছে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষকে।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন,সামাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) চার নেতা-কর্মী হত্যার শিকার হয়। এছাড়া দুজন নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
মীর কাদির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়