পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপস এবং শেখ সেলিমসহ অন্যান্য ব্যক্তির সরাসরি জড়িত থাকার দাবি করেছেন নিহত মেজর শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ। তিনি শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার ৫০ দিনের মধ্যে, ঢাকার পিলখানায় বিদ্রোহী বিডিআর সৈন্যরা বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিককে হত্যা করে। বিদ্রোহীরা অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে, বেসামরিকদের ওপর গুলি চালায়, স্থাপনা ও সম্পত্তি ভাঙচুর করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। এরপরে আলাপ-আলোচনার দ্বারা বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করে ও জিম্মিদের মুক্তি দেয়।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। আরও ২৫ জনকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে, রাকিন আহমেদ দাবি করেন যে শেখ হাসিনা, ফজলে নূর তাপস এবং শেখ সেলিম পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হলে তাদের নামও সামনে আসবে।’’
এছাড়া, নিহত কর্নেল শফিকের ছেলে অ্যাডভোকেট সাকিবুর দাবি করেন যে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে তদন্ত কমিটিতে ছিলেন এবং রিপোর্টটি তিন দফা সংশোধন করার পর মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি রিপোর্টের ‘র’ কপি প্রকাশের দাবি জানান।
নিহত পরিবারের সদস্যরা বিডিআর বিদ্রোহের পরিবর্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ড হিসেবে ঘটনাটি উল্লেখ করার অনুরোধ জানান এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের হাত থাকতে পারে বলে দাবি করেন। তাদের মতে, “ডাল-ভাত নিয়ে দ্বন্দ্ব” প্রচার করা হয়েছিল ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য।
এমএ//