২০১৮ সালের আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ৮ আসামির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন (গালিব)।
রায়ে পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন হত্যার দায়ে দুবাই পলাতক আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আরাভ খান এবং তার সাবেক স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক থাকায় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বাকি ছয় আসামিকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির করা হয় এবং পরে কারাগারে পাঠানো হয়।
হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৭ জুলাই, রাজধানীর বনানীতে। ঘটনার দুই দিন পর, গাজীপুরের একটি জঙ্গল থেকে মামুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পুলিশ এই মামলায় আরাভ খানসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পরে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
রায় ঘোষণার পর মামলার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এটি একটি পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ড ছিল। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মধ্য দিয়ে বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অন্যদিকে, মামলার রায় নিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।
এই মামলার মূল আসামি আরাভ খান, যিনি বর্তমানে দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত, পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি রয়েছে।