পুলিশের গণমুখী না হওয়ার কোনোই সুযোগ নেই। তারা অতীতে যে অপরাধ করেছে, অতীতে তারা যেভাবে স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখার জন্য লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকা পালন করেছে সেই জায়গা থেকে তাদের গণ তওবা করা উচিৎ। যদি তারা গণমুখী না হয় তাহলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এটা তাদের ভালো করে বুঝা উচিৎ।
বুধবার(২৮আগস্ট) সকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমাদের স্বভাব চরিত্র পাল্টাতে হবে।আগে যেভাবে চলেছে এখন আর অইভাবে চলবেনা এটা আগে মাথায় গাথা উচিৎ। এখন পুলিশের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের পক্ষে দাড়ানো।এই জিনিস টা পুলিশ প্রশাসনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকের উপলব্ধি করতে হবে যে, কারও পেটুয়া বাহিনী হয়ে টিকে থাকার সুযোগ আর নেই। আমি অনিকের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তা দ্রুত প্রত্যাহার এর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন,বিগত ১৫/১৬ বছর যে একচেটিয়া বিবেকহীন সরকার গঠন করেছিলো তা ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটে। কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা সেই সরকারের নেত্রী বা নেতা যা-ই হোক তারা গর্তে ঢুকে গেলেও তারা যে বিষ বৃক্ষ তৈরি করে গেছে বা রেখে গেছে তার রেষ কাটতে বহু বছর সময় লাগবে। আমাদের এখন ভরসার জায়গা হলো ছাত্রজনতার অভূতপূর্ব ঐক্য। আর ভরসা হলো ন্যায় ও ন্যায্যতার সপক্ষে দাড়ানোর জন্য যে প্রেরণা এটা ধারণ করা। এই প্রেরণা ধারণ করতে পারলেই স্বৈরাচারের দোসরদের এই অপচেষ্টা প্রতিহত করতে পারবো। আমাদের আরও কিছুদিন নজরদারির ভূমিকা ও জনমানুষের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে যাতে এক ডাকে সবাই রাস্তায় নেমে আসে।
স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশন এর সভাপতি মেহেদী সজিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই যারা আন্দোলনকে বেগবান করতে ভূমিকা রেখেছিলাম তার মধ্যে অনিক আহমেদ অন্যতম। তাছাড়া সে মাদার বখ্শ হলে রাবি ছাত্রলীগ সম্পাদক সন্ত্রাসী গালিব দ্বারা মানসিক এবং শারিরীক হেনস্তার স্বীকার হয়। এমনকি মাথায় পিস্তল ঠিকিয়ে মৃত্যুর হুমকি, শিবির ট্যাগ দিয়ে হল থেকে নামানোর মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায়।
বাংলার আনাচে কানাচে এখনও তারা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা এসময় খোলস পাল্টিয়ে হিন্দু, আনসার হয়ে ফিরে আসতে চাচ্ছে এবং এই দেশকে এই সরকারকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মুখোমুখি করে দিতে চাচ্ছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই তাদের এই কুটকৌশলকে সফল হতে দিব না। আমরা পাঁচ আগস্ট সৈরাচার হাসিনাকে যেভাবে গণবিপ্লবের মাধ্যমে পতন ঘটাতে সফল হয়েছি। আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী গণভবণ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যন্ত আমরা সৈরাচার বিলোপ করেই ছাড়ব। পৃথিবীর আনাচে কানাচে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে আমরা বসে থাকব না।
তিনি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সৈরাচার সকল চক্রান্ত নশ্যাৎ করে দেয়ার আহ্বান করেন এবং অনিক আহমেদকে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার হুশিয়ারি দেন।
দীন/এমএ//