খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ও আহতের ঘটনায় তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। জারী করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল মানুষের গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা কলেজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে একটি সন্ত্রাসী মহল দোকান ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ঘটায়। আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আইএসপিআর আরও জানায়, বৃহস্পতিবার রাতেই একজন মুমূর্ষু রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল)-এর সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যদের ওপর গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়, ফলস্বরূপ আক্রমণকারী ৩ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পিসিজেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে ৮০০-১০০০ জন উত্তেজিত জনসাধারণ একটি মিছিল বের করে বনরুপা বাজার মসজিদ, সিএনজি- অটোরিকশা, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এবং বেশকিছু দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিকে/আরএ//