ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের দাবিতে রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্টে ‘রোডমার্চ টু জিরোপয়েন্ট’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার(১৫আগস্ট) সকাল ১১টায় তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
রাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে মানুষ সাড়া দেওয়ায়, আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পদত্যাগ করাতে পেরেছি। এই বাংলার বুকে সন্ত্রাসীদের জায়গা হতে পারে না। আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু, মুসলিম ও সংখ্যালঘুরাও নেমেছে। শেখ হাসিনা তুমি কোথায়? বাংলার আনাচে-কানাচে সবাই এখন একতাবদ্ধ। তোমার আদর্শ এদেশে বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। আমার ভাই এর রক্ত এখনো শুকায় নাই। এই অবস্থায় তোমার বিচার না করে আমরা ছাত্র জনতা থামবো না।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সানজিদা ঢালি বলেন, স্বৈরাচার সরকার আমাদের ভাইদের গুলি করে হত্যা করেছে জুলাই মাসে। জুলাই মাসে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা আমরা ঘরে বসে জানতেও পারিনি এমনকি সংবাদমাধ্যমেও তা আসতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারা বলে আগস্ট মাস নাকি শোকের মাস।আমি বিশ্বাস করি আগস্ট মাস শোকের হতে পারেনা, শোকের মাস হচ্ছে জুলাই। এই স্বৈরাচার সরকার বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে আবার দেশে এসে তাদের স্বৈরাচারী রাজনীতি চালু করতে চাচ্ছে।তারা চাচ্ছে ধর্মের উপর ভিত্তি করে সংখ্যালুঘুদের উপর নির্যাতনের প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে বাংলাদেশে আসতে ।কিন্তু তাদের বুঝতে হবে বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মের নামে বিভেদ ছড়িয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন সংখ্যা লঘিষ্ঠ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ পরে তার আগে আমরা বাঙালি।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শহীদ সাকিব আঞ্জুমের সহযোদ্ধা নিলয় বলেন,আমাদের এই জয় ছাত্রসমাজের জয়।এই জয়ে কোনো অপশক্তি ও সন্ত্রাসের স্থান হবেনা। জয়ে কোন অপশক্তি,কোন ধরণের দূর্নীতি, কোন ধরণের সন্ত্রাস এগুলো সৃষ্টি করতে পারবে না।আমাদের ভাই সাকিব আনজুম ভাই যিনি আওয়ামীলীগের গুলিতে হত্যা হয়েছেন।তিনি এদেশের পুলিশ লীগের গুলিতে হত্যা হয়েছেন।এর বিচার আমরা চাই।আমরা অনেক কষ্টে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।এই দেশ আমাদের। আমাদের ছাত্র সমাজের;কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নয়,কোন অপশক্তির নয়,কোন স্বাধীনতা বিরোধী দলের নয়।
এই জন্য বলছি সবাই দলে দলে প্রতিহত করুন এই সকল অপশক্তিকে।
যোবায়ের রাশিদ বলেন, আমরা গত ৫ই আগস্ট ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করি কিন্তু সেই ফ্যাসিবাদের কিছু প্রেতাত্মারা কোনোভাবেই চায়না আমরা যেন আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে সুষ্ঠুভাবে থাকতে পারি।তারা বারবারই ষড়যন্ত্র করে চলছে,আমাদের ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এই জয় ছাত্রদের,এই জয় জনতার।এই জয় অন্য কারও না।আমরা সবাই একসাথে থাকবো,লড়াই করবো।আমরা আমাদের দাবি আদায়ে লড়াই করবো।
কর্মসূচিতে হাজারের অধিক আন্দোলনকারী উপস্থিত ছিলনে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আন্দোলনকারীরা তালাইমারী হয়ে জিরো পয়েন্টে জড়ো হতে থাকে।
দীন/এমএ//