অমর একুশে বইমেলায় প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রকাশনা নিয়ে হাজির হয়েছে জাতীয় কবির স্মৃতিধন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসাথে এবারের বইমেলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্টল(৮১০নং )উদ্বোধন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
বইমেলার উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. মো. রিয়াদ হাসান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ( ভারপ্রাপ্ত) মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ অন্যরা।
বইমেলার পটভূমি ও গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আজকে মেলা একটি বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে। এর পরিসর বেড়েছে। আমরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মোটো হচ্ছে শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন। আমরা শিক্ষাকে ছাত্রছাত্রীদের জন্য যুগোপযোগী করে তুলছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বাজারে যেন তারা নিজেদের দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারে সে চেষ্টা করছি।
মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ নিয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের অভিযাত্রার অংশ হিসেবে এবার ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রাণের বইমেলায় আমরা অংশ গ্রহণ করেছি। এ মেলায় অংশ নেয়ার কারণটি হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যেখানেই থাকুক না কেন আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে আঁচর কাটতে চাই, দাগ রাখতে চাই। সেজন্য আমাদের প্রকাশনা, গবেষণাপত্র নিয়ে এ মেলায় অংশ নিয়েছি। আপনাদের উপস্থিতি আমাদের প্রাণিত করছে। এই স্টলের মধ্যদিয়ে আমাদের নতুন যে যাত্রা শুরু হলো, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন থাকবে, এই বইমেলা যতদিন হবে, এই বইমেলার সাথে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক আর ছিন্ন হবে না। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকবার মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার বন্ধুদের কাছে পরিচিত হবে। পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করবে বলেও ড. সৌমিত্র শেখর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তব্যে উপাচার্য ভাষা আন্দলনে শহীদদের প্রতি তাঁর বিনম্র শ্রদ্ধাও জ্ঞাপন করেন।
বইমেলায় স্টলের ভাবনা প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, মাননীয় উপাচার্য স্যারের সৃষ্টিশীল চিন্তা ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও প্রশাসনিক উদ্যোগের কারণে বইমেলার মতো একটি জাতীয় আসরে প্রথমবারের মতো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ হিসেবে সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, জনসংযোগ দপ্তর, রেজিস্ট্রার দপ্তর, বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগ থেকে প্রকাশিত জার্নাল, বই, স্মারক, প্রকাশনা প্রভৃতি স্টলটিতে পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বর্ধমান ভবনের পেছনে বইমেলার তথ্যকেন্দ্রের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৮ ফুট প্রস্থের স্টলটি।নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষদ ও বিভাগ/ইন্সটিটিউট ভিত্তিক প্রকাশিত ৫০টি প্রকশনা বইমেলায় স্থান পেয়েছে।
রিভা সুলতানা,
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।