‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে যাচ্ছি’—এই চিরকুট রেখে বরগুনার আমতলী উপজেলার হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের এক স্কুলশিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম ছিলেন হরিদ্রাবাড়িয়া গ্রামের মো. খালেক খানের ছেলে এবং আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী ছোবাহান বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে নজরুল ইসলামের বিয়ে হয় একই গ্রামের দুলাল ভূঁইয়ার মেয়ে খাদিজার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল। তাদের এক বছরের একটি ছেলেসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার রাতে নজরুল ও খাদিজার মধ্যে ঝগড়া বাধে। পরদিন সকালে খাদিজা তার ভাশুর ফেরদৌস খানকে জানান, ‘আমি বাবার বাড়ি চলে যাচ্ছি, আপনার ভাই আমাকে মারধর করেছে।’
এরপর খাদিজা বাবার বাড়ি চলে যায়। একই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা নজরুল ইসলামকে আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনাস্থল থেকে নজরুলের কাপড়ে পেঁচানো একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যেখানে লেখা ছিল ‘বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চলে গেলাম।’ এই ঘটনায় আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই খাদিজা বেগম গা-ঢাকা দিয়েছেন।
নজরুল ইসলামের বড় ভাই মো. ফেরদৌস খান অভিযোগ করেন, তার ভাইকে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী খাদিজা নানাভাবে নির্যাতন করছিলেন, যা সহ্য করতে না পেরে নজরুল আত্মহত্যা করেছেন। তিনি তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন।
খাদিজা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার গা-ঢাকা দেওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।