বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় একই ট্রলারের জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, এতে ১৭জন আহত হয়, তার মধ্যে ৫জন গুরুতর।
আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধা ৭টার দিকে পাথরঘাটার লাল দিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে চিকিৎসাধীন জেলেরা নিশ্চিত করেছেন। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার মেয়ে ফারজানা সবুর রুমকি।
জানা যায়, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আলম মোল্লার মালিকানা এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারে ১৭জন জেলে পাথরঘাটার লঞ্চঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যায়। সাগরে ফালানো জাল উঠানোর সময় ছিড়ে গেলে ওই ট্রলারের মাঝি জয়নাল মিয়া জাল টানতে বলে। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা কয়েকজন জেলে জাল টানতে অপারগতা প্রকাশ করলে দুপরে মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায় উভয় পরে অন্তত ১৭জন জেলে আহত হয়।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হানিফা, আফান, মো. রাশেদ, হেলাল, বেলাল বলেন, কয়েকদিন ধরে সাগরে ওই ট্রলারে কাঙ্খিত মাছ না পাওয়ায় ট্রলারের মাঝি জয়নাল অপর ট্রলারে ডাকাতি করতে বললে তাতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে। তাদের মধ্যে হেলালের মাথায় ১৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
ট্রলার মালিক আলম মোল্লা বলেন, ডাকাতির করানোর কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। জাল টানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। আমার ট্রলারের জেলেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে, তাদের সমাধান দিয়ে রেফ কাগজে লিখিত পড়িত রেখেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, কয়েকজন আহত জেলে ভর্তি হয়েছে, চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের পরিক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া আঘাতের বিষয় বলা যাচ্ছে না। তবে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো দরকার হতে পারে।
ফারজানা সবুর রুমকি বলেন, শুনেছি সাগরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমি তাৎনিক আহতদের খোজ খবর নিয়েছি, তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। তবে অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হলে ছাড় দেয়া হবে না।
পাথরঘাটা থানা তদন্ত ওসি সাইফুজ্জামান বলেন, এ রকমের ঘটনা শুনেছি। তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
মোঃ রবিউল আলম সুজা
প্রতিনিধি (বরগুনা) পাথরঘাটা