বন্যার্তদের সহায়তায় একদিন বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক-কর্মকর্তারা। শনিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও কর্মকর্তা সমিতির আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বেশ কয়েকটি জেলা সহসা প্রবল বন্যার কবলে পড়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। অগণিত মানুষ খাদ্য, বস্ত্র ও ওষুধের অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায়, ইবি শিক্ষক সমিতির সদস্যদের এক দিনের বেতন কর্তন করে সেই অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ প্রবল বন্যার কবলে পড়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। শিশুসহ অগণিত মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও ঔষুধের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমতাবস্থায়, কর্মকর্তা সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের এক দিনের বেতন কর্তন করে সেই অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্যার্তদের সহায়তায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় অর্থ সংগ্রহ করেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা পোশাক, শুকনো খাবার, ঔষধ ইত্যাদির সংগ্রহ করে পাঠাচ্ছে বন্যা দুর্গত এলাকায়।
অন্যদিকে জন্মাষ্টমী উৎসবের ব্যয় কমিয়ে বন্যার্তদের সাহায্যে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এবিষয়ে সংগঠনটি তিনটি পদক্ষেপ নিয়েছে। পদক্ষেপ গুলো হলো: এবার শোভাযাত্রার আয়োজন না করা। যতটা সম্ভব কম খরচ করে জন্মাষ্টমী উদযাপন করা এবং সেখান থেকে একটা অংশ বন্যার্তদের সাহায্যের ফান্ডে দেয়া হবে।
তামিম/এমএ//