বর্তমানে ক্ষমতাসীন বিজেপির সাংসদ কঙ্গনা রনৌত নিজেকে ‘দেশ কি বেটি’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে এক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, নিজের দেশে জন্মগ্রহণ করেও তিনি নিজেকে ‘নির্বাসিত’ মনে করতেন। বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’ হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়কার বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, ‘২০০৪ সালে আমি মুম্বাই আসি। এরপর ২০০৫-২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ ও ‘উয়ো লমহে’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করি এবং প্রশংসা লাভ করি। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করলেও হঠাৎ করে কাজের প্রস্তাব বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘এটা শুধু দু-এক বছরের লড়াই নয়, বছরের পর বছর ধরে কাজের নিশ্চয়তা না পাওয়া সত্যিই কঠিন। আমাকে বারবার বলা হয়েছে যে আমি ভালো অভিনয় করি, কিন্তু এটাই আমার কাজ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।’
কঙ্গনা জানান, কাজ না পেয়ে তিনি নিজের জন্মভূমিতেই নির্বাসিত মনে করতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, আমাকে হয়তো দেশ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। এরপর আমি ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালাবাসাসে একটি বাড়ি কিনি, একটি এজেন্টকে নিয়োগ করি এবং একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র পরিচালনা করি। বলিউডের নিয়ম অনুযায়ী, যারা ভালো কাজ করবেন, তাদের এই জগত থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।’
আগামী মাসে মুক্তি পাবে কঙ্গনার অভিনীত ও পরিচালিত ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। ছবিতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। ট্রেলার প্রকাশের পর শিখ সমাজের পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। ছবিতে কঙ্গনার সঙ্গে অভিনয় করেছেন শ্রেয়স তলপড়, অনুপম খের, মিলিন্দ সোমনসহ আরো অনেকে।