বিশেষ প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, চীন সাধারণত অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। তবে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন সংক্রান্ত পরিবেশ সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে চীনা প্রতিনিধিদের অবহিত করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, চীন সবসময় বাংলাদেশের শান্তি, উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক ধারার অগ্রগতির পক্ষে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) প্রতিনিধিদের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোর প্রধান পেং জিউবিনের নেতৃত্বে একটি আট সদস্যের প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশ নেয়। বিএনপির পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় উপস্থিত ছিল।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব ও সাবেক সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
অন্যদিকে, চীনা প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরোর উপ-পরিচালক চেন জুয়ানবো, তৃতীয় সচিব চেন ইয়াংপেই, কর্মকর্তা ঝাং গুইউ, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিং এবং কর্মকর্তা লিউ হংরু উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বিএনপির সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক হয়েছে এবং বিএনপি তাদের নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। চীনের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যদিও গত ১৫ বছর ধরে কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি। আজকের আলোচনার মাধ্যমে পুরনো সম্পর্ক নতুনভাবে জোরদার হলো এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।