“ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবনের অবস্থানটা কৌশলগত ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অসংখ্য দ্বীপ আর নদী-নালা-খাল ভরা এই অঞ্চল। এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বঙ্গোপসাগর থেকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাহারা দিতে আধুনিক জলযান ও সরঞ্জামসহ একটি নৌ ব্যাটালিয়ন গড়তে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদন চেয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ বলছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নদীপথ দিয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতি বা উগ্রবাদীরা যাতে ভারতে না ঢুকতে পারে, তারই আগাম সতর্কতা হিসেবে একটি নৌ-ব্যাটালিয়ন গড়তে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদন চেয়েছে।
নদী-সীমান্তে পাহারা দেয়ার জন্য এখন যে ভাসমান সীমান্ত-চৌকি আর দু’তিন ধরনের জলযান রয়েছে, নতুন ব্যাটালিয়নে সেগুলোর সাথেই যোগ হবে আরো আধুনিক জলযান ও সরঞ্জাম। এই বিশেষ বাহিনীটি বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত অঞ্চলের অধীনে কাজ করবে এবং বঙ্গোপসাগর থেকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাহারা দেবে।
নাম উল্লেখ না করার শর্তে এক বিএসএফ কর্মকর্তা বলছেন, এই অঞ্চল দিয়ে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান যেমন নিয়মিত চলতে থাকে, তেমনই কোনও জঙ্গিও প্রবেশ করতে পারে ভারতে। মুম্বাই হামলার আগে পাকিস্তান থেকে আজমল কাসভরা তো জলপথেই ভারতে এসেছিল। তাই এই অঞ্চলে সীমান্ত সুরক্ষা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।তবে এখনই যে এধরনের কোনও গোষ্ঠী সুন্দরবন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে, এরকম কোনও গোয়েন্দা তথ্য তাদের হাতে নেই। তার কথায়, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।