নিউজ ডেস্ক
জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে মোট ২৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিলো। এখন পর্যন্ত মাত্র ১০টি প্রকল্প অগ্রসর হয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলো আছে প্রাথমিক পর্যায়ে।
গত ৭ বছরে যে ২৭ প্রকল্পে অর্থায়ন বা ঋণ প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছিলো চীন, তার মধ্যে ১০ টি প্রকল্প বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে চারটির কাজ শেষ, আর প্রকল্প চলমান আছে ছয়টি।
শেষ হওয়া চারটি প্রকল্পের মধ্যে আছে কর্ণফুলী টানেল। মোট ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কর্ণফুলী টানেলে চীনের ঋণ থেকে অর্থায়ন করা হয়েছে ছয় হাজার ৭০ কোটি টাকা। সম্প্রতি টানেলটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এই টানেলের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের সাথে এবং মাতারবাড়ি যাওয়ায় সময় করে আসায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশ।
সামনে যে ছয়টি প্রকল্পের কাজ চলছে তারমধ্যে আছে পদ্মা রেল সংযোগ, চট্টগ্রামের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং বা এসপিএম, ঢাকা আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, পিজিসিবি’র আওতায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন, ডিপিডিসি’র আওতায় বিদ্যুতের বিতরণ ব্যবস্থা, রাজশাহীতে ওয়াসার ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহ প্রকল্প।
এছাড়া নতুন আরও ছয়টি প্রকল্প নিয়ে কাজ হবে আগামীতে। চীনের ঋণ প্রকল্পের আওতায় গ্রহণ করা ১০ টি প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ছয়টি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যেগুলোতে চীনের ঋণ থেকে অর্থায়ন করা হবে। এগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জন্য চারটি সমুদ্রগামী জাহাজ ক্রয়, তিস্তা নদী রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, চট্টগ্রামে আনোয়ারায় ইকোনমিকাল জোন, আখাউড়া থেকে সিলেট রেললাইন ডুয়েলগেজে রুপান্তর, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ও সকল পৌরসভার জন্য খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্প।