অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে বসার কথা মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। কিন্তু কোটা আন্দোলনকে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা এক সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পতন হয় শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যে কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মুখে সরকার পতন ঘটে বাংলাদেশে। দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। বাকিরাও এই মুহূর্তে আত্মগোপনে আছেন। যাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তাব্যক্তিও।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও অরাজকতা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যার ফলে বর্তমান অবস্থা চলাকালে বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। এই চারটি দেশেরই অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসার কথা। কিন্তু চলমান অরাজকতার কারণে এই আসর আদৌ বাংলাদেশে হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এমনকি বিশ্বকাপের জন্য বিকল্প ভেন্যুর কথাও ভাবছে তারা। তবে সদ্য দায়িত্বভার গ্রহণ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপ বাংলাদেশে আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী। প্রয়োজনে তিনি জাতিসংঘের সাহায্য নিতে চান।