গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এক স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। তারপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ প্রশাসন বিহীন হয়ে পড়ে। শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে । দীর্ঘ ১ মাস পর ৫ই সেপ্টেম্বর অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উপাচার্য নিয়োগের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সকল রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। যদিও আন্দোলনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বিষয়ে রাবি উপাচার্য এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ❝বিগত দশকগুলোতে যে ফর্মে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি হয়েছে, আমি মনে করি তা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতিকর। এমনকি রাষ্ট্রের কোনো কল্যাণও বয়ে আনেনি। তা বুঝার আর বাকি নেই। আমরা এটা নিয়ে ভাবছি,কাজ করতেছি। আশা করি মাস খানেকের ভিতর বিষয়টি নিয়ে জানানো হবে। ❞
আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, এই শূণ্যতার ফলে ক্লাস পরীক্ষা সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ,সবকিছুর উপরই এর প্রভাব পড়েছে। একই সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, এটা একটা গণঅভ্যুত্থানের পরের পরিবেশ। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকায় গণঅভ্যুত্থান বা গণ বিপ্লবের পরে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয় সেটা স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় সবসময়ই লাগে আর ১মাস একটা দীর্ঘ সময়। সবমিলিয়ে বলতে গেলে হ্যা কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কি ক পরিবর্তন চান এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা এখন একটি পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দাড়িয়ে আছি। একাডেমিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন, গবেষণা ও প্রশাসন সবকিছুতেই একটা পরিবর্তন চাইবো আর সেটা অবশ্যই ইতিবাচক হতে হবে। আমি ও আমার প্রশাসন আপ্রান চেষ্টা করছি দীর্ঘসময় ধরে হলে যে অরাজকতা ছিলো তা সম্পূর্ণ দূর করা। আমাদের শিক্ষার্থীদের যে অধিকার ও সম্মানের যে জায়গাটা তা নিশ্চিত করবো।
শিক্ষকদের জবাবদিহিতার প্রশ্নে তিনি বলেন,প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট থেকে পঠনপাঠন কোর্স এগুলো ঠিকমতো ক্যারিয়ার করা হচ্ছে কিনা তা শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে এগুলোকে মূল্যায়ন করে হবে আর তা যেন শিক্ষকের ক্যারিয়ার ও প্রমোশনে যে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে তা নিশ্চিত করা হবে।
হলের আবাসিকতার প্রশ্নে উপাচার্য বলেন,আমি মনে করি হলে ১০০% আবাসিকতা সম্ভব। সারা দুনিয়ায় এটা হয়ে থাকে। এটার জন্য সময় লাগবে। আমাদের পর্যাপ্ত হলে নেই হল নির্মাণ করতে হবে।
দীন ইসলাম/আরএ//