রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিতর্কিত ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে প্রমোট করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধন শিক্ষার্থীরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্স ইউনিভার্সিটিসহ ট্রান্সজেন্ডার-সমকামিতা সমর্থনকারী সকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদেরকে হুশিয়ার করে বলেন তারা এ সমর্থন বন্ধ না করলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে দমন করা হবে। এবং কোনোভাবেই বাংলাদেশে সমকামিতার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ হাসান বলেন, আমাদের সমাজের কিছু বুদ্ধিজীবী এই টান্সজেন্ডারকে থার্ডজেন্ডারে রূপ দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করছে। আমরা সবসময় থার্ডজেন্ডারের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু টান্সজেন্ডার হলো পরিকল্পিত পরিবর্তন, যেটা আমাদের সমাজ ধর্ম কেউই সমর্থন করে না। কোনো ছেলে যদি এখন বলে রোকেয়া হলে সিট দেওয়া হোক তাহলে তা দেওয়া হবে? আর যদি দেওয়াও হয় তারপর কি হবে? আমরা যদি এখনই এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়াই তাহলে একসময় আমাদের ছেলেরা মনে মনে মেয়ে এবং মেয়েরা মনে মনে ছেলে বলে দাবি করবে।
ফারসি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জান্নাত বলেন-আজকের এই আন্দোলন শুধু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নয়,আজকের এই আন্দোলন শুধু শিক্ষক কেন্দ্রিক আন্দোলন নয় এই আন্দোলন পুরো মুসলিম জাতির আন্দোলন কারণ ইসলামে কোনো ট্রান্সজেন্ডারের স্থান নেই।
এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, কওমে লুত যেমন ভাবে সমকামিতার অপরাধে পুরো জাতিসহ উল্টে ধ্বংস দেওয়া হয়েছিল। তেমনি ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুকে রুখে দিতে না পারলে তারা আমাদের পুরো দেশকে উল্টিয়ে ছাড়বে। তাদেরকে এখনি রুখে দিতে না পারলে কওমে লুতের মতো ধ্বংস তারা ডেকে আনবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ট্রান্সজেন্ডারকে রুখে দেওয়ার জন্য এবং এর প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের জন্য। তারা এই ট্রান্সজেন্ডার নামক একটা সহজ সমীকরণকে কঠিন বানিয়েছে কিন্তু এর ফলাফল শূন্য হবে।
২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন- এখনি যদি এই ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের বিরুদ্ধে রুখে না দাড়ানো হয় তাহলে আগামী বাংলাদেশে চাকরিতে মহিলা কোটার অগ্রাধিকারের জন্য অনেক ছেলে নিজেদের মেয়ে বলে পরিচয় দিবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়