কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ সহ বেশ কয়েকটি পদ শূন্য রয়েছে প্রায় একমাস যাবত। উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। এই উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে আছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল।
খোজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করেই হয়েছিলেন মেধাতালিকায় ১২তম। সে সময় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘তিনি উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে থাকলেও গত চার বছর আগেই কুমিল্লা থেকে ঢাকায় বাসা শিফট করেছেন। অর্থাৎ তিনি ঢাকা থেকে এসেই সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস নিয়ে চলে আসেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রেও অনীহা প্রকাশ করেছেন। বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করে উপাচার্যের মত পদের জন্য তদবির চালানোর পিছনে দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য আছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘যিনি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করতে পারে তার নীতির ঠিক নেই। উনার মত একজন উপাচার্য হয়ে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক ক্ষতি। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সৎ এবং যোগ্য লোক উপাচার্য হয়ে আসবেন যিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
এই ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মাসুদা কামালকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।