বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রতাহার করে স্বাভাবিক নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিবন্ধনপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে ‘অবৈধ গণবিজ্ঞপ্তি মানি না মানবো না’, ‘আবু সাঈদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, অনিয়মের কবর দে’, ‘অবৈধ দাবি যেখান, লড়াই হবে সেখানে’, ‘মেধা ছাড়া শিক্ষক,অযোগ্য অযোগ্য’, ‘আইনের বরখেলাপ চলবে না চলবে না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের উত্থাপিত দাবী সমূহ হলো-
‘বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রতাহার, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৮তম লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ, শিক্ষক সংকট নিরসনে দ্রুত ১৮তম নিবন্ধনের ফলাফলের পর ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া, অটো এমপিও চালু করা ও পঁয়ত্রিশোর্ধ্বদের সুযোগ বন্ধ করা’।
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা এতোদিন আন্দোলন করেছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে, এখন আমাদের রুটি রুজির আন্দোলন। ১৮তম নিবন্ধনে পরিক্ষার্থী ছিলো সাড়ে ৩ লাখ যার বিপরীতে পদ আছে ৭৫ হাজারের মতো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শিক্ষক সংকট দেখিয়ে প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের নিয়মবহির্ভূত ভাবে নিয়োগ দিচ্ছে যাদের অধিকাংশের বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে এবং তাদের চারটা বিজ্ঞপ্তিতেও চাকরি হয়নি কারণ তাদের রেজাল্ট খারাপ। এমন অযোগ্যদের চাকরি দিলে শিক্ষার মান খারাপ হবে। আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন পুরণ হবে না।