কার্যত একা হাতে দলকে ফাইনালে জিতিয়েছেন তিনি। তাঁর জন্যই ভারতীয় বোলাররা দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নেওয়ার পর যে পাল্টা লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখেছিল এক লক্ষ ৩২ হাজারের গ্যালারি, তা কার্যত একপেশে ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল শেষের দিকে।
বয়স মাত্র ২৯। কিন্তু তিনি একাই গোটা দেশকে মাথা উঁচু করিয়ে মাঠ ছাড়লেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে ১৩৭ রানের ইনিংস শুধু খেললেন তাই নয়, দেশকে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন করলেন। নির্বাচিত হয়েছেন ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে।
ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন হেড। কিন্তু শুরুতেই ওয়ার্নার আউট হয়ে যান। পরপরই আউট হয়ে যান মিচেল মার্শ ও স্টিভ স্মিথ। তারপর মারনুশ লাবুসেনেকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়ে যান ইনিংস। একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে গিয়েছিল ৪৭ রানে ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া যখন খাদের ধারে দাঁড়িয়ে তখন থেকে দলকে টেনে তুললেন হেড ও লাবুসেনে। তাড়াহুড়ো করে নয়, বুদ্ধি করে ম্যাচ বের করে দিলেন দু’জন। যে পিচে ভারতীয় ব্যাটাররা রান করতে পারছিলেন না, সেই পিচেই একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন।
ভারতীয়রা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন যে বিশ্বকাপ হয়তো জিতবেন। কিন্তু সেই আশা শেষ করলেন একাই হেড। সেমিফাইনালের পর ফাইনাল, টুর্নামেন্টের দুই নকআউট ম্যাচেই কামাল দেখালেন হেড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ধরে খেললেন হেড। ৪৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন হেড। ফাইনালেও একই চিত্র। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জেতা পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারলেন না ঠিকই, ছয় মেরে ম্যাচ জেতাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হল না।
জেতা থেকে যখন দু’রান বাকি ছিল তখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হেড। হাততালি দিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সকলেই। কার্যত একা হাতে অস্ট্রেলিয়াকে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ জেতালেন হেড।
আর তার পুরস্কারও পেলেন হেড। তাঁকেই ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে। ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারের স্বীকিত হাতে নিয়ে হেড বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য দিন। এই জয়ের অংশ হতে পেরে দারুণ খুশি আমি।