বিশ্বকাপের পরপরই ব্যর্থতার পর্যবেক্ষণ করতে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই কমিটির কার্যক্রম চলমান। কথা বলা হয়েছে অনেকের সঙ্গেই। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা খতিয়ে দেখার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে তদন্ত কমিটি। বাকি শুধু অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাক্ষাৎকার নেওয়া। বর্তমানে ওমরা হজ করতে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন তামিম ইকবাল। জানা গেছে দ্রুতই ফিরবেন দেশে। এরপর মুখোমুখি হবেন বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় গঠন করা বিসিবির তদন্ত কমিটির। বিশ্বকাপ না খেলেও কেন তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হচ্ছে তামিমকে প্রশ্ন অনেকের?
এবার বিশ্বকাপের আগে, ঘটনাবহুল ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। স্কোয়াড চূড়ান্ত করার আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তামিমকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে না খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বেছে বেছে বড় ম্যাচগুলো খেলতে বলেন বাঁহাতি এ ওপেনারকে। এ রকম প্রস্তাব পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তামিম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবি সভাপতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু কথাও বলেন তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শেষে বিশ্বকাপ না খেলার সিদ্ধান্ত নেন তামিম। নিজের ফেসবুক পেজে পরিস্থিতি ব্যাখ্যাও করেন তামিম।
পরে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দেশ ছাড়ার আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তামিমের সমালোচনা করেন। এর রেশ বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশ্বকাপ দলে না থেকেও তামিমের প্রভাব খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। ধারনা করা হচ্ছে এ কারনেই তামিমকে ডেকেছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
এটাও ধারণা করা হচ্ছে যে, বিশ্বকাপ শুরুর আগে এবং বিশ্বকাপ চলাকালে দলের ড্রেসিংরুম সংক্রান্ত আলাপের কারনেও ডাকা হতে পারে তামিম ইকবালকে। বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে তার ভিডিওবার্তা, সাকিবের পাল্টা উত্তর কিংবা বোর্ডের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগ এসব কিছুই খতিয়ে দেখার মত ইস্যু। মাঠের খেলায় তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের এমন দ্বন্দ্বের প্রভাবও উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়।
এদিকে সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও এখনো আলাপ হয়নি তদন্ত কমিটির। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ না হলে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে পারবেন না সাকিব। নির্বাচনের মাঠে ব্যস্ত সাকিবের সঙ্গে আলাপ গড়াতে পারে নির্বাচনের পরে।
এসব কারণে তদন্ত রিপোর্ট দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তারা।