বাংলাদেশের টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) স্পোর্টস ক্লাবের আয়োজনে হবে আন্ত:বিভাগীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা। এ উপলক্ষে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বুটেক্স অডিটোরিয়ামে ‘স্পোর্টস ফেস্টা ১.০’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।
স্পোর্টস টুর্নামেন্টের টাইটেল পার্টনার হিসেবে কাজ করছে টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠান আসুটেক্স। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান, রেজিস্টার কাবেরী মজুমদার, বুটেক্স স্পোর্টস ক্লাবের মডারেটর মো: কামরুল হাসান চৌধুরী, বুটেক্সের এস্টেট ও সিকিউরিটি সেকশনের কর্মকর্তা স্বপন কুমার মন্ডল, স্পোর্টস ক্লাবের সদস্যবৃন্দ, সকল ডিপার্টমেন্টের ফুটবল দলের ক্যাপ্টেনবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ২টার দিকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি শেষ হয় বিকাল ৪টায়। বুটেক্স স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতির বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এবং ফুটবল দলগুলোর গ্রুপ নির্ধারণী ড্রয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।
বুটেক্স স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতি ও ইয়ার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা যেমন মানুষকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে তেমনি মানুষের আত্মিক বিকাশে সহায়তা করে থাকে। এই টুর্নামেন্টে আয়োজন করতে পেরে আমি আসলে আনন্দিত এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, খেলোয়ার এবং যারা দর্শক তারা এই টুর্নামেন্টের সার্থকতা প্রতিফলিত করবে।
স্পোর্টস ক্লাবের মডারেটর এবং অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্পোর্টস ক্লাবের মডারেটর হওয়ার পর আমার উপর যে দায়িত্ব এসেছে তা অনেক বড়। সকলের প্রচেষ্টা ছাড়া এ টুর্নামেন্ট কখনোই নামানো সম্ভব নয়। এজন্য আমি উপাচার্য মহোদয়, এই টুর্নামেন্টের সাথে সম্পৃক্ত ভলেন্টিয়ার এবং খেলোয়ারদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি টুর্নামেন্টের সূচনা করার জন্য। কিন্তু এর পাশাপাশি আমরা অ্যাকাডেমিকভাবে যাতে পিছিয়ে না যাই সেজন্য একাডেমির কার্যক্রম ব্যাহত যাতে না হয় তার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
বুটেক্স উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলমুজ্জামান বলেন, মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা প্রয়োজন অপরিসীম। আমি এত সুন্দরভাবে আগে কখনো কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে দেখিনি। এজন্য আমি এই টুর্নামেন্টের সাথে সকলকে সাধুবাদ জানাই। আগে আমার হাত বাধা ছিল। সেজন্য অনেক কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে এ ধরনের আয়োজন যাতে আরো বেশি বেশি করা যায় তার জন্য আমি সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। এবং এ টুর্নামেন্টে ভালোভাবে শেষ করার জন্য সকলের আহ্বান করছি।
বুটেক্স স্পোর্টস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ইয়ার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পিয়াস বলেন, আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আরো নামানোর চেষ্টা করব। তার জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জায়গা থেকে অংশগ্রহণ কামনা করছি।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আগে এক একটি টুর্নামেন্ট একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য অনেক ব্যয়বহুল হত তেমনি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলত। কারণ খেলার সামগ্রী থেকে জার্সি সব শিক্ষার্থীদের নিজের টাকায় কেনা লাগতো। এছাড়াও একটি টুর্নামেন্টে সকল ডিপার্টমেন্ট জার্সির জন্য স্পনসর ম্যানেজ করতে পারত না। এ বিশ্ববিদ্যালয় আসার পর সর্বপ্রথম কোনো একটি টুর্নামেন্ট দেখলাম যে টুর্নামেন্ট স্পোর্টস ক্লাব থেকেই ফুটবল জার্সি প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া এর আগে অনেক টুর্নামেন্টে অনিয়ম দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে অনিয়মের কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না, এ বিষয়টি আমরা প্রত্যাশা করছি।
রাতুল//বিএন