বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালত একই রায় দিয়েছিল, যা হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের পর পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মাত্র ৩৭ দিনের তদন্ত শেষে ১৩ নভেম্বর চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভ দেখা দেয়, যা শেষ পর্যন্ত বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে জোরালো করে। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের শিক্ষা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।