হঠাৎ রোদ-বৃষ্টির অনিশ্চিত আবহাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে ছাতা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে যবিপ্রবি ইসলামিক নলেজ সিকার্স সোসাইটি।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবন এবং জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে পরীক্ষামূলকভাবে এই ছাতা সেবা চালু করে সংগঠনটি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লাইব্রেরি ভবন ও মেডিকেল ভবনেও এই সেবা চালু করা হবে বলে জানান তাঁরা।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ জরুরি চলাচলে যেন কেউ বৃষ্টিতে ভিজে অসুবিধায় না পড়েন, সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে রাখা ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রয়োজন শেষে পুনরায় সঠিক জায়গায় রেখে যাবেন, যাতে অন্যরাও ব্যবহার করতে পারেন।তবে ছাতা ব্যবহারের জন্য কিছু নিয়মাবলি নির্ধারণ করেছে তাঁরা। কেউ ছাতা বাসায় নিতে পারবেন না, দীর্ঘসময় নিজের কাছে রাখা যাবে না এবং যথাস্থানে রেখে যাওয়াই বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে ভবনের সামনে নির্দেশনাসহ পোস্টারও লাগিয়েছে সংগঠনটির সদস্যরা।
এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে সংগঠনটির সদস্য আদনান জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহযোগিতার মানসিকতা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই যবিপ্রবি হয়ে উঠুক আরও মানবিক, সাচ্ছন্দ্যময় ও বন্ধুত্বপূর্ণ একটি ক্যাম্পাস। এমন উদ্যোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, এটা ছোট হলেও খুব প্রয়োজনীয় ও মানবিক উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। এমন সহযোগিতামূলক চিন্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের জন্য কল্যাণজনক।
উল্লেখ্য, ছাতা ব্যবস্থার পাশাপাশি সংগঠনটি ক্যাম্পাসে নামাজের রুম সংস্কার, মসজিদের সামনে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা, দেয়ালে ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি, লাইব্রেরিতে ইসলামিক কর্ণার স্থাপন, সেমিনার আয়োজনসহ নানা সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ছাতা সরবরাহ এবং সেবার পরিধি বাড়ানোর জন্য তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।