আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করার জেরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়ে দিলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ঢুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে রাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার একটি কার গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল পুড়ে দেয়। এ সময় সঙ্গে থাকা আরও ৫ মোটরসাইকেলেও আগুন দেয়া হয়। এ দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে পরায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে সটকে পরেছে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মুনতাসীর নামে বেরোবি শিক্ষার্থী বলেন, আমার ছোট ভাই আবু সাইদ কে অন্যায় ভাবে নিহত করা হয়েছে। সে মহান উদ্দেশ্যে জীবন দিলো। তার এই আত্মত্যাগ যেনো বৃথা না যায়।
এর আগে দুপুর ২ টায় রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ন ফটকের সামনে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন বিক্ষুব্ধ স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। এ পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বেরোবি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হন।
প্রসঙ্গত, চীন ফেরত পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্রিক এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতি-নাতনিরা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে?
এরপর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে স্লোগান দিতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলগুলো থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। একইভাবে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মিছিল শুরু হয়।
এ সময় মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের এরমধ্যে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কীসের তোমার অধিকার, তুমি একটা রাজাকার’ ‘ কে বলেছে কে বলেছে সরকার সরকার’ ইত্যাদি। এরপর বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দফায় দফায় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়।