পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র নারী চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে গণধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসা ভারতীয়দেরকে সমর্থন জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণসংহতি ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কর্তব্যরত ওই ডাক্তারকে অবর্ণনীয় পাশবিক নির্যাতন করে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয় । ভারতীয় পুলিশ কর্তৃক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয় ঘটনার দিন রাত তিনটা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তিনি এতটাই নির্মমতার শিকার হয়েছেন যে ঘটনার সময় তার চোখের মণি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে এবং চোয়ালের হাড় ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও তার শরীরে ক্ষত, আচড়ানোর দাগ ও গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সঞ্জয় দাস নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত এই আসামি পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি শেষে সংহতি সমাবেশে অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার বলেন, আমরা এই গণসংহতি থেকে বিশ্ববাসীকে এটা নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা বাঙালিরা যে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছি তার অংশ হিসেবে পৃথিবীর যেকোন জায়গায় ঘটে যাওয়া সকল ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। এছাড়াও আমরা জাহাঙ্গীরনগর থেকে সারা দেশে এই প্রতিবাদের জোরালো আওয়াজ ছড়িয়ে দিতে চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, হাসপাতালে আমরা মুমূর্ষু অবস্থায় যাই চিকিৎসার জন্য সেখানে কিভাবে মানুষরুপী কিছু পশু একজন চিকিৎসককে এমন পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করেছে। এরপর আবার তাকে হত্যা করেছে।বাংলাদেশে আমরা যখন কোটা সংস্কার ও স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলাম তখন তারা আমাদের পাশে থেকেছে। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের মতো তারাও পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছে। আমরা মৌমিতা দেবনাথের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি যাতে অন্য কোন মৌমিতা দেবনাথের মতো অন্য কাউকে কখনও নিপীড়নের শিকার না হতে হয়।
রবিউল/এমএ//