হাসিনা সরকারের পতনের পর এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।এসময় তারা অতীত দুর্নীতির রেকর্ড যাচাই-বাছাই করে সৎ-সাহসী, শিক্ষার্থীবান্ধব ও সংস্কারমনা উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) শাখার সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়করাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘রেকর্ড দেখে ভিসি দিন, দুর্নীতির খবর নিন’, ‘ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই’, ‘ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই, অবিলম্বে ভিসি চাই’, ‘সেশনজটের কবর চাই, সংস্কারমনা ভিসি চাই’, ‘সৎ ও সাহসী ভিসি চাই’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সহ-সমন্বয় ইয়াসিরুল কবির সৌরভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা যে ১৩জন উপাচার্য পেয়েছি তারা কোনো না কোনোভাবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এতে দেখা যায় তারা অনিয়ম-দুর্নীতির মহা সুযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করেছে। ৫আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দুনীতিগ্রস্ত ভিসির পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা এমন ভিসি চাই না যার অডিও ফাঁস হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে। কোনো দলবাজ শিক্ষককে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে। এসময় তিনি দল নিরপেক্ষ, সংস্কারমনা, শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগের দাবি করেন।
সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য না থাকার কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে সবকিছু পিছিয়ে পড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে পড়ছে। অনতিবিলম্বে একাডেমিক ও প্রশাসনিক স্থবিরতা দূরীকরণে যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত, সংস্কারমনা, শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য দ্রুততম সময়ের ভিতরে নিয়োগ দিতে হবে।