ময়মনসিংহে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। গত রোববার (৪ মে) রাতে জেলার মুক্তাগাছা এলাকা থেকে অভিযানে গিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মাহিন আল মামুনসহ চারজনকে আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
র্যাব-১৪-এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৫ মে) এই তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং মঙ্গলবার (৬ মে) চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে।
আটকদের মধ্যে মাহিন আল মামুন (৩১) নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা। অপর তিনজন হলেন—মো. ইউসুফ হোসেন (৩৫), মো. মোর্শেদ (৩৫) এবং মনির হোসেন (৩২)। ইউসুফ ও মোর্শেদ কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা এবং মনিরের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে।
র্যাবের তথ্যমতে, মাহিন ময়মনসিংহের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজেকে মেজর পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেন গত ৯ এপ্রিল, পরিবারের অজান্তেই। পরে মেয়েটির বাবা জামাতাকে নিয়ে বাড়িতে আসার আহ্বান জানান। গত ৩০ এপ্রিল শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছালে মাহিনের কথাবার্তায় সন্দেহ তৈরি হয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। যখন আইডি কার্ড ও কর্মস্থলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি নিজেকে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক বলেও দাবি করেন।
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে মেয়েটির বাবা সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেন এবং জানতে পারেন, মাহিনের পরিচয় পুরোপুরি ভুয়া। এরপর র্যাব-১৪ তৎপর হয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রতারকদের আটক করে। অভিযানে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৩,৯০০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক নয়মুল হাসান জানান, মাহিন আল মামুন দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণামূলক কাজ চালিয়ে আসছিলেন তার সহযোগীদের নিয়ে। বর্তমানে তাদের মুক্তাগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানার তদন্ত কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র গোপ জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং প্রতারক চক্রটিকে আদালতে পাঠানো হবে।