মাঙ্কিপক্স এমন একটি ভাইরাস, যা আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ পরিচিতদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে এই ভাইরাসের ঝুঁকি এবং আক্রান্তদের মধ্যে কে বেশি প্রভাবিত হতে পারে তা নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করছেন।
এদের মধ্যে অল্পবয়সী শিশুরা একটি বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল এবং পুষ্টির অভাবের কারণে তাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আরও কম থাকে। শিশুরা যখন একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মেশে ও খেলাধুলা করে, তখন তারা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এছাড়া, দীর্ঘকাল আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া গুটিবসন্তের টিকার অভাবও শিশুদের জন্য একটি সমস্যা। ফলে বয়স্ক ব্যক্তিরা, যারা পূর্বে টিকা পেয়েছেন, তারা কিছুটা সুরক্ষিত থাকতে পারে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরো বেশি, কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হতে পারে।
মাঙ্কিপক্স থেকে বাঁচতে, আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলা উচিত এবং ভাইরাসের উপস্থিতি থাকলে হাত সাবান ও পানি দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, সুস্থ হওয়ার পর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত যৌন সম্পর্কের সময় কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
মাঙ্কিপক্সের জন্য টিকা রয়েছে, তবে বর্তমানে এটি কেবলমাত্র উচ্চ ঝুঁকির ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। উদ্বেগজনক বিষয় হল, পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে সবার কাছে টিকা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়নি, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য মাঙ্কিপক্সের টিকার সরবরাহ বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছে।