মিডিয়া মাফিয়া কৌশিক হোসেন তাপস, আধুনিক গান থেকে শুরু করে রবীন্দ্রসংগীত পর্যন্ত প্রায় কোনো শ্রেণির গানই তার তথাকথিত ফিউশান থেকে রক্ষা পায়নি। তাপসকে নিয়ে পর্যালোচনা যত গভীরে যাচ্ছে তার কু-কীর্তিগুলোও ততই স্পষ্ট হয়ে সামনে আসছে। নিজের অদৃশ্য ক্ষমতাবলে দেশের পুরোটা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন তাপস এবং তার স্ত্রী ফারজানা মুন্নি।
জানা যায় শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের প্রশ্রয়ে ব্যাবসায়ে নিজের আওতা বাড়িয়েছেন তাপস। গান বাংলার নাম করে কর ফাঁকি দিয়ে ইউক্রেন থেকে নারীদের এনে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদর মনোরন্জনের ব্যাবস্থা করতেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দেশটির কয়েকজন নারীকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তখন খোকনকে ফোন করে ইমিগ্রেশন করিয়ে নেন তিনি।
এদিকে আর্থিক খাতে অনিয়মের শীর্ষে থাকা আলোচিত ব্যাক্তিত্ব সালমান এফ রহমানের সাথে তাপসের সম্পর্ক তাপসের ফেসবুকে দেয়া তাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি দেখলেই বোঝা যায়। সাবেক পর্ণ তারকা সানি লিওনের ওপর ২২ সালে নিষেধাজ্ঞা দেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তখনই এ পরোয়া না করেই সানি লিওনিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন তাপস যাতে প্রত্যক্ষ্য সাহায্য করেছেন দরবেশ খ্যাত সালমান এফ রহমান। যদিও বলেছেন তার মেয়ের বিয়ের আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে নিয়ে এসেছেন, কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ছিল রাঘব বোয়ালদের মনোরন্জন।
শুধু সানি নয় নারগিস ফাখরিসহ টালি পাড়ার অনেক সেলিব্রেটি তাপসের হাত ধরে ঢাকায় এসেছে। ক্ষমতা বৃদ্ধিতে মূখ্য ভূামিকায় ছিল তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নি, যিনি সাবেক প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিউটিশিয়ান ছিলেন, যাতে করে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাকর্মীদের সাথে তার ওঠাবসা ছিল। তারই সুবাদে সরকারি বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক কাজ বাগিয়ে নিতেন এবং যেসব শিল্পীরা গান করতের তাদের অর্থের সিংহভাগ নিজ তহব্বিলে রাখতেন।
যদিও আন্দোলনের শেষদিকে ছাত্রদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে প্রোফাইল লাল করে অন্যান্য আওয়ামী সমর্থক শিল্পীদের রোষাণলে পড়েন, কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। তাপসের মালিকানায় থাকা বাংলাদেশের একমাত্র সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গান বাংলা ভাঙ্গচুর করা হয়। অন্যান্যদের মত আত্মগোপনে থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করলেও নেটিজেনদের মন্তব্য থেকে বাঁচতে কমেন্ট সেকশন বন্ধ রাখেন এই মাফিয়া তারকা।