মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রচণ্ড গোলাগুলি সহ্য করতে না পেরে বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১২ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ছয়টার দিকে তারা বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে প্রবেশ করে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেন।যদিও বিজিবি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়,শনিবার বিকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। মিয়ানমারে সীমান্তবর্তী ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি এখনো চলমান। শনিবার বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছিল। আজ আবার ভোর থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লাঞ্চার বিস্ফোরণে, বিকট শব্দে কেপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয় গুলির শিষা ও রকেট লঞ্চার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। তাদের ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গত কয়েক দিনের গোলাগুলির ঘটনায় এখানকার মানুষ আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন তারা।
এদিকে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলিতে একটি গুলি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসে পড়েছে। গুলিতে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
সীমান্ত এলাকায় বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা রাখতে বিজিবি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ অবস্থায় রোববার ভোরে বিদ্রোহীদের আক্রমণে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর ১৪ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে।