নাশকতার অভিযোগে পল্টন মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা এ আবেদন করেন। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) পল্টন মডেল থানার ওসি মনির হোসেন মোল্লা ও ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সুমিত কুমার এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর ওই আবেদন করা হয়।
আবেদনে বলা হয়েছে, এজাহারভুক্ত ও তাঁদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বল প্রয়োগ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করেন। আসামিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারভুক্ত ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেন। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে উল্লিখিত আসামিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলার রহস্য উদঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখিয়ে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।