উপাচার্য, রেজিস্ট্রার,ট্রেজারার, প্রক্টর,হল প্রভোস্ট,, রিজেন্ট বোর্ড এর সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদসহ উপাচার্যের সকল অনুসারীদের পদত্যাগের দাবিতে টানা ২য় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল “মার্চ টু প্রশাসনিক ভবন” করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এইসময় তারা যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনকে শনিবারের মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটার সময় যবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল “মার্চ টু প্রশাসনিক ভবন” নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা । সেই সময় তারা উপাচার্যকে শনিবারের মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন। অন্যথায় তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আরো কঠোর আন্দোলনের ও হুশিয়ারি দেন। সমাবেশে বক্তারা উপাচার্যসহ,রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার,,প্রক্টর, হল প্রভোস্ট,, রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদ সহ উপাচার্যের সকল অনুসারীদের পদত্যাগের দাবি করেন।
এই বিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ উসামাহ বলেন যে, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আশ্রয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভিসি বিগত ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলায় সহযোগিতা করেছেন। তাই আমাদের আন্দোলনের প্রধান দাবি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বৈরাচারী ভিসি, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্য দালাল সিন্ডিকেটদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও কোনো ধরণের রাজনৈতিক দলের জায়গা এই যবিপ্রবিতে আমরা চাই না। যদি উপাচার্য মহোদয় পদত্যাগ না করেন তবে আগামী শনিবার থেকে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাব।
এছাড়া,ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সজীব হোসেন বলেন যে, যবিপ্রবি উপাচার্য তার নির্ধারিত মেয়াদ কালীন সময়ে যে উন্নয়ন গুলো করেছে সেগুলো ছিল বিগত উপাচার্য সাত্তার স্যারের আমলের সময়ে। উপাচার্য স্যারের কাছে যখন আমরা কোন ধরনের দাবি নিয়ে যেতাম তখন তিনি আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দিতেন । কিন্তু তিনি সেটা বাস্তবায়ন করেননি। এই মিথ্যুক ও দূর্নীতিবাজ ভিসিকে আমরা চাই না। ভিসি’র উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, আপনি জানেন পতনের চেয়ে পদত্যাগ উত্তম তাই আপনি স্বসম্মানে পদত্যাগ করুন।
এবং কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী উর্মী আরো বলেন যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের থেকে এই আন্দোলন করছি না। আমাদের বিরুদ্ধে এইরকম গুজব ছড়ানো বন্ধ করুন। সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে কোনো ধরনের ট্যাগ দিলেই তারা তাদের কর্মসূচি থেকে সরে যাবে না। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীর এই আন্দোলনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছেন তাদের প্রত্যেককেই জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ ,লিফট দুর্নীতিবানিজ্য সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমরা চাই যে এমন একজন শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি এই যবিপ্রবিতে আসুক যিনি আমাদের কথা শুনবে।
এছাড়াও উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যার মধ্যে রাফি, আকিব ইবনে সাঈদ, দোলেনুর, সুমন আলী, ইসমাঈলসহ আরও অনেকেই ছিলেন।
এমদাদুল/এমএ//